সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
বুধবার ফজরের নামাজের পর কয়েকজন নারীকে দেখা গেলো সড়কের পাশে পাতা সংগ্রহ করছে। সামনে গিয়ে জিজ্ঞাসা করতেই মিললো অদ্ভুত তথ্য। পীর নির্দেশে তারা থানকুনি পাতা (টেকা পাতা) কুঁড়াচ্ছে। তাদের বিশ্বাস, এ পাতা খেলে করোনা হবে না। নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন আলীরটেকে ওই নারীরা তা বিশ্বাস করে পাতার খোঁজে নেমেছেন। তবে বিকেলে শোনা যায়, বিভিন্ন এলাকায় এখন থানকুনি পাতার সন্ধান করা হচ্ছে। কে বা কারা করোনা রোধে এক পাতার রস কার্যকর বলে গুজব ছড়িয়ে দেয়ার পর এমনটা ঘটছে।
খোজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি সময়ে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির উপায় হিসাবে থানকুনি পাতা ব্যবহার করতে বলেছেন কোন এক আস্তানার পীর সাহেব। থানকুনি পাতাকে স্থানীয় ভাষায় টেকা বা টাকা পাতা বলা হয়। স্থানীয় মহিলা আম্বিয়া বেগম জানান, পীর সাহেব স্বপ্নে দেখেছেন তিনটি থানকুনি বা টেকা পাতা খেলে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। আর এমন তথ্য অল্প সময়ের মধ্যে এলাকা ছড়িয়ে পরলে থানকুনি পাতার সন্ধানে বের হয়ে যান অনেকে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে অনেকেই ৩টি করে থানকুনি পাতা খেয়েছেন। যারা থানকুনি পাতা খেয়েছেন তাদের ধারণা, এই পাতা খেলে তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবে না। অনেকেই আবার করোনাভাইরাসে থানকুনি পাতার কার্যকারিতা সম্পর্কে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। কেউ কেউ বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের ফোন করে থানকুনি পাতা সংগ্রহ ও খাওয়ার কথা জানিয়েছেন বলে জানা যায়।
স্বাস্থ্যবিদদের মতে, আমাশয়, পেটব্যথা, পেটে গ্যাস, সহ নানা অসুখে থানকুনির ঔষধি গুণের কথা অনেকেই জানেন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসাবে এ তথ্য তারা এ প্রথমই শুনছেন। অনেকের মতে এটা গুজব বলে ছড়ানো হচ্ছে সাধারণ মানুষের মাঝে। যেখানে নির্দিষ্ট ওষুধ খুঁজে বের করতে হিমশিম খাচ্ছেন বিভিন্ন দেশের গবেষকরা। সেখানে প্রতিষেধক দাবি করা হচ্ছে থানকুনি পাতাকে।